আপনারা ইঞ্জিনে ব্যাবহৃত লুব্রিকেন্ট সম্পর্কে অনেকেই জানেন ৷ সাধারনত আমরা এটাকে মোবিল নামেই চিনি ৷ এই লুব্রিকেন্টের ব্যবসা একটি সিক্রেট ব্যবসা ৷
অনেকেই জানেন না এই ব্যবসার সিক্রেট লাভ কিভাবে করা যায় ৷ আজকের ভিডিওতে এই লুব্রিকেন্ট ব্যবসা করে কিভাবে প্রতি মাসে কোটি টাকা আয় করতে
পারবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ৷
কিভাবে শুরু করবেন ??
শুরু করার আগে এই লুব্রিকেন্ট মার্কেট নিয়ে আপনাকে একটু গবেষনা করতে হবে ৷ আশে পাশে অন্তত ১০০ দোকানে ভিজিট করুন যারা এই লুব্রিকেন্ট বিক্রি করে ৷
এসব লুব্রিকেন্ট সাধারণত মোটর পার্টসের দোকানে , মোটর গেরেজে ইত্যাদি স্থানে বিক্রি হয়ে থাকে ৷ প্রথমে আপনি
কোন লুব্রিকেন্ট কত দামে বিক্রি হয় এটার একটা তালিকা তৈরি করবেন ৷
কারণ বাজারে নামিদামী ব্রান্ডের লুব্রিকেন্ট যেমন বিক্রি হয় তেমনি লোকাল ব্রান্ডের লুব্রিকেন্ট ও বিক্রি হয়ে থাকে ৷ এদের দামও কম বেশী হয়ে থাকে ৷
আপনি যেহেতু নতুন ব্র্যান্ড নিয়ে মার্কেটিং করবেন সেহেতু দাম একটু কম দেয়া লাগবে।
এবারের কাজ হলো প্লাষ্টিকের ১ লিটার ২ লিটার ৫ লিটারের বোতল সংগ্রহ করা ৷ পুরান ঢাকায় এসব বোতল লোকালি তৈরি হয় ৷ পুরান ঢাকার চক বাজারে অনেক
দোকান আছে যারা এসব বোতল বানিয়ে লোকাল মার্কেটে সেল করে। প্রত্যেকটি বোতল ১০-১৫ টাকায় কিনতে পারবেন ৷ খালি বোতল কেনার পর
বোতলে একটা লেবেল লাগাতে হবে। এই লেবেল আপনি ঢাকার আরমবাগ থেকে বানিয়ে নিতে পারবেন। প্রতি লেবেল ৫ টাকা করে পড়বে।
এবার ২৫০ লিটারের লুব্রিকেন্ট ড্রাম ক্রয় করতে হবে ৷ ঢাকার নবাবপুরে অনেক আমদানী কারক আছেন যারা লুব্রিকেন্ট ২৫০ লিটার ড্রামে করে আমদানী করে থাকে ৷
৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায় পাবেন এসব ড্রাম ৷ কম বেশী হতে পারে ৷
যদি ৪০ হাজার টাকায় ড্রাম কিনেন তবে ১৬০ টাকা করে প্রতি লিটার পড়বে ৷
তবে আপনি নিজে আমদানী করতে পারলে প্রতি লিটার ৮০-৯০ টাকায় আমদানী করা সম্ভব ৷ মধ্যপ্রাচ্যে প্রতি লিটার লুব্রিকেন্ট বোতল সহ ৭০-৮০ পড়বে ৷
ড্রামে করে নিয়ে আসলে ৬০-৭০ টাকায় কিনতে পারবেন ৷ দুবাই থেকে অনেকেই লুব্রিকেন্ট আমদানি করে থাকে। লুব্রিকেন্ট আমদানি করা তেমন কোন
কঠিন কাজ না। আপনি নিজেও চাইলে লুব্রিকেন্ট আমদানি করতে পারবেন। এছাড়া আলিবাবা থেকেও আমদানি করতে পারবেন। কিভাবে আলিবাবা থেকে
লুব্রিকেন্ট আমদানি করতে হয় সেটা নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত পোষ্ট দেয়া আছে দেখে নিতে পারেন।
তবে লুব্রিকেন্ট আমদানী করার জন্যে জ্বলানী আধিদপ্তর থেকে বিশেষ লাইসেন্স নিতে হবে ৷ এজন্য প্রাথমিক ভাবে কাউকে দিয়ে আমদানি করিয়ে
নিতে পারেন। এজন্য আমদানিকারক কে লিটার প্রতি ১০-১৫ টাকা করে দিতে হয়।
লাভ লোকসান
এক লিটার লুব্রিকেন্টে মোট খরচ আমদানী না করে লোকাল থেকে ক্রয় করলে ১৬০ টাকা (অনুমানিক)
বোতল ২০ টাকা
ষ্টিকার ৫ টাকা
মার্কেটিং ১০ টাকা
মোট ১৯৫ টাকা
বাজারে এক লিটার লুব্রিকেন্ট পাইকারী সেল২৪০-২৫০ টাকা । তাহলে আপনি প্রতি লিতারে ৫০ টাকা লাভ করতে পারবেন সহজেই ৷
নিজে আমদানী করতে পারলে প্রতি লিটারে খরচ ১২০ টাকা বোতল সহ ৷ বিক্রি ২৫০ টাকা হলে লাভ হবে ১৩০ টাকা প্রতি লিটারে ৷
আপনি যদি প্রাথমিক ভাবে ১০০০ লিটার প্রতিদিন বিক্রি করতে পারেন তবে প্রতিদিন ৫০০০০ থেকে ১০০০০০ টাকা আয় করতে পারবেন ৷ সব কিছু
ঠিক ঠাক থাকলে বছরে অনুমানিক এক কোটি থেকে দেড় কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। তবে প্রাথমিক ভাবে ১০০০ লিটার বিক্রি করা অনেক কঠিন হলেও
আস্তে আস্তে সবই সম্ভব হবে। চেষ্টা করবেন ভালো কোন পরিবহন সেক্টর কে টার্গেট করতে। তাহলে বেশী পরিমাণে মার্কেটিং করা লাগবেনা।
আয় করতে পারবেন ৷
কত টাকা ইনভেস্ত করা লাগবে ?
১০০০ লিটার লুব্রিকেন্ট ক্রয় করতে আপনাকে ইনভেস্ত করতে হবে ২ লাখ টাকার মত। মার্কেটিং করতে আরও ৫০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। আপাদত
আড়াই লাখ টাকা হলেই চলবে। এর পর আস্তে আস্তে আপনার ইনভেস্ট বাড়াতে পারবেন।
সাবধানতা
এই ব্যবসায় বাকি বেশী পড়ে। চেষ্টা করবেন লাভ কম হলেও বাকি বেশী না দিতে।
You can get dealer or distributor on USA authentic brand CITGO. details on: 01707009710
ReplyDeleteযেভাবে ব্যবসাটির ধারণা দেয়া হলো বোতলজাত বা ক্যান প্যাক করে লুব্রিক্যান্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে আইনগত কোনো সমস্যা হবে না?
ReplyDeleteI want to interest about this business. So if you possible please give me details buying or selling rate.
ReplyDeleteএকটু বিস্তারিত ধারণা চাই
ReplyDeleteলুব্রিকেন্ট আমদানি বিষয়ক সকল সহযোগিতা ও পরামর্শ পেতে 01773666242 এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন ।
ReplyDelete
ReplyDelete,
ReplyDelete