আপনি যদি বেকার থাকেন আর বাড়িতে বসে ব্যবসাকরতে চান তবে আজকের এই পোষ্ট
আপনার জন্য। এমন কিছু ব্যবসা আছে যেগুলি বাড়িতে বসে নামমাত্র টাকায় শুরু করেই লাভের মুখ দেখা সম্ভব।
বাড়িতে বসে ব্যবসা আপনি দুই ভাবে করতে পারেন। একটা হল অনলাইনে আরেকটা হল অফলাইনে। অনলাইনে কিভাবে বাড়িতে বসে ব্যবসাকরা যাবে সেতা নিয়ে পরের একটি পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আজকের পোষ্টে আমি দেখাবো কিভাবে অফলাইনে
বাড়িতে বসে ব্যবসা করতে পারবেন।
আপনারা অনেকেই চায়না হাঁস বা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় টার্কি মুরগী সম্পর্কে জেনে থাকবেন।
অবিশাস্য হলেও এটাই সত্যি টার্কি মুরগির ৪শ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে ডিম। খেতে সুম্বাদু টার্কি মুরগির মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় আপনি চাইলে বাড়িতে টার্কির খামার গড়ে তুলতে পারেন। তবে বর্তমানে টার্কির দাম অনেকটা কমে এসেছে। আপনি চাইলে মাত্র ৫০০০ টাকা নিয়ে বাড়িতে বসে ব্যবসা শুরু করতে পারেন এই টার্কি মুরগির।
দুই মাস বয়সের প্রতিটি টার্কি কিনতে পারবেন ৩শ টাকা করে। আপনি যদি প্রথমে ১০ টি টার্কি কিনেন তাহলে ৩০০০ টাকাই হয়ে যাবে। চেষ্টা করবেন মুরগি অন্তত ৭টি এবং মোরগ অন্তত ৩ টি ক্রয় করার জন্য। ৬ থেকে ৭ মাস বয়সে টার্কি ডিম দেয়া শুরু করে। দেশি মুরগির মতো ১৫ থেকে ২০টি ডিম দেওয়ার কিছুদিন পর আবার ডিম দেয় ।
তবে ৭ টি স্ত্রী টার্কির জন্য সমান সংখ্যক পুরুষ টার্কির দরকার নেই। সংখ্যায় বেশি হলে পুরুষ টার্কি অধিকাংশ সময় মারামারিতে লিপ্ত হয়। তাই দুই থেকে তিন টি পুরুষ টার্কি রেখে বাকি গুলো বিক্রি করে দিবেন । সাধারণ মুরগির মত রোগ বালাই হলেও টার্কির খামার করার পর তেমন বড় ধরনের কোনো অসুখ দেখা দেয়না।
তবে টার্কির রোগবালাই প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই প্রবল। ৬ মাসে একটি পুরুষ টার্কির ওজন হয়েছে ৫ থেকে ৬ কেজি এবং স্ত্রী টার্কির ওজন হয়েছে ৩ থেকে ৪ কেজি। যদি সাতটি ত্রী টার্কিঠিক ঠাক মত ডিম দেয় তবে ১০০ টির মত ডিম আপনি পেয়ে জাবেন। যদি ১০০ টি ডিম ফোটাতে পারেন তবে বাচ্ছা বিক্রি করতে পারবেন ১৫-২০ হাজার টাকা ।
খাবার বলতে ঘাস হচ্ছে টার্কির প্রধান খাবার। এছাড়া পাতা কপি, কচুরিপনা এবং দানাদারযুক্ত খাবার হচ্ছে টার্কির খাবার। তাই যে কেউ অনায়াসে টার্কি পালন করে লাভবান হতে পারেন।
এছাড়া একটি পুরুষ টার্কি ৬ মাসে ৫ থেকে ৬ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। যদি ৩শ টাকা কেজি ধরা হয় তাহলে ৬ কেজি ওজনের একটি টার্কির মূল্য হচ্ছে ১ হাজার ৮শ টাকা। এর জন্য খরচ সর্বসাকূল্যে ৫শ টাকার বেশি হবে না।
তবে সাবধান থাকবেন কারণ ভারত থেকে নিম্নমানের টার্কির বাচ্চা নিয়ে আসছে একটি প্রতারক চক্র। কম টাকায় বাচ্চাগুলো বিক্রি করায় সহজে ক্রেতা আকৃষ্ট হচ্ছেন। কিন্তু এ গুলোর মান খুবই খারাপ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাচ্চাগুলো মারা যাচ্ছে। তবে সহজে নিম্নমানের বাচ্চা চেনার কোনো উপায় না থাকায় আপনি চেষ্টা করবেন বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করতে।
যে কেউ বাড়িতে বসে ব্যবসা করতে চাইলে এই আইডিয়াটি একটি চমৎকার আইদিয়া। আপনিও শুরু করতে পারেন বাড়িতে বসে ব্যবসা।
No comments:
Post a Comment