Friday, October 5, 2018

মাত্র ৫০ হাজার টাকায় শুরু করুন মিষ্টি উৎপাদন ব্যবসা




মিষ্টি উৎপাদন ব্যবসা
মিষ্টি উৎপাদন ব্যবসা

হ্যলো ভিওয়ার আজ আমি বাংলাদেশের একটি প্রপিটেবল বিজনেস আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব । মুখরোচক খাবারের মধ্যে মিষ্টি অন্যতম । মানুষের দৈনন্দিন  চাহিদার মধ্যে এটি একটি বিশাল স্থান জুড়ে
আছে সেই প্রাচীন যুগ থেকে । জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু হলে দোয়ার আনুষ্ঠানে মিষ্টির ব্যবহার খুব লক্ষ করা যায়। বিভিন্ন সংস্কতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মিষ্টির ব্যবহার ব্যপক হচ্চে দিন দিন।
মিষ্টি বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ।উৎসবের দিনে বাঙালির ঘরে মিষ্টির কদর অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি। তাছাড়া আজকাল ডায়েবেটিস  রোগীদের জন্য নতুন প্রযুক্তিতে মিষ্টি তৈরি করা হচ্চে।
সারা দেশে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ মিষ্টি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।
তাহলে বুঝতেই  পারেন মিষ্টির কত চাহিদা রয়েচে ।

আজ আমি এই প্রয়োজনীয় বস্তুটি নিয়ে কিভাবে বিজনেস সেটি নিয়ে আলোচনা করব ।  এ বিজনেস এর জন্য বেশি পুজির দরকার হয়না এবং খুব বেশী বড় আকারের দোকানের প্রয়োজন হয়না ।
তো আপনি নিজেও  চাইলে শুরু করতে পারেন মিষ্টির বিজনেস । 

কিভাবে শুরু করবেন ?
যদি ব্যবসাটি ঢাকাতে হয় তবে আপনি ব্যবসাটি দুই ভাবে করতে পারবেন।

  • পাইকারি দরে মিষ্টি ক্রয় করে
  • নিজে মিষ্টি নিজের কারখানায় উৎপাদন করে।  
তবে গ্রামে যেহেতু প্রচুর জাগা থাকে তবে আপনি উৎপাদন করে বিক্রি করাটাই উত্তম।

যদি এই ব্যবসাটি আপনি দোকান দিয়ে শুরু করতে চান তবে আপনার স্থান অনুযায়ী বিভিন্ন রকম খরচ হতে পারে। সেটা ১ লাখ থেকে ৫ লাখ হতে পারে।

এ মিষ্টি উৎপাদন করতে আপনার তেমন বেশি পুজির প্রয়োজন হয়না । প্রথমে কিছু কাঁচামাল ক্রয় করতে হবে। সবার আগে দরকার মিষ্টি বানানোর নিয়ম প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালো করে জানা।
বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প কর্পোরেশন থেকে ৬ মাসের একটা প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। অথবা কোন মিষ্টির তৈরির কারখানায় প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। সর্বোচ্ছ ৫০ হাজার টাকা প্রথমে বিনিয়োগ করলেই
হবে। এই টাকা রি ইনভেস্ট হবে। কারণ বিক্রি করে আবার সেই টাকা আবার ইনভেস্ট করে।

ব্র্যান্ডের মিষ্টি

বাংলাদেহে এখন মিষ্টির কয়েকটি বড় বড় ব্র্যান্ড আছে৷ যেমন মিনা সুইটস, প্রিমিয়াম সুইটস, প্রমিনেন্ট সুইট রস, বনফুল, মিঠাই, জয়পুর, মুসলিম সুইটস ইত্যাদি৷

কি কি ধরনের মিষ্টি তৈরি করতে পারেন
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিগুলির মধ্যে আছে রংপুরের হাবসি হালুয়া, রাজশাহীর রসকদম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কালো তিল কদম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা ও ক্ষীর তক্‌তি,
পাবনার ইলিশপেটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, যশোরের জামতলার রসগোল্লা ও চমচম, খুলনার মিহিদানা লাড্ডু, রাজবাড়ীর চমচম, ফরিদপুরের মালাই সর,
বরিশালের গটিয়া সন্দেশ ও আদি রসগোল্লা, দিনাজপুরের গুড় ক্ষীরমোহন ইত্যাদি।

প্যাকেজিং
ব্র্যান্ডের মিষ্টির  ব্যবসা যারা করেন তারা প্যাকেজিংকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন । উৎসব আয়োজনে বাহারি মিষ্টির প্যাকেট কাস্টমারকে আকর্ষণ করতে থাকে ৷
কোনো কোনো মিষ্টির দোকান এখন গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী প্যাকেট করে দেন৷ আর এই প্যাকেজিং-এ এখন বাঁশ বেতের ব্যবহারও হচ্ছে৷ মিষ্টির প্যাকেজিং এখন ছোট হলেও আলাদা
শিল্প হিসেবে গড়ে উঠছে৷ এই প্যাকেজিং-এ ঐতিহ্যবাহী মাটির হাড়ি ফিরে এসেছে, তবে তা ভিন্ন রূপে৷

এই বিজনেস এর জন্য কি অভিজ্ঞতা লাগবে ,
ভালো মানের মিষ্টি তৈরি জন্য অভিজ্ঞতা লাগবে । আপনি যদি নিজে কাজ না জানেন তাহলে আপনি কোন দক্ষ করীগর দিয়ে আপনার কাজটি সম্পুর্ন করবেন । তবে খেয়াল রাখবেন আপনার মিষ্টিটি যেন
অন্যদের চেয়ে একটু আলদা হয় । তবে আপনি এ দোকানের পাশাপাশি কনপেকশনারী আইটেম রাখাতে পারেন তার জন্য আপানার বেশি পুজির প্রয়োজন হবে না ।
তাছাড়া আপনি কপি ও চা এর ব্যবস্থাও রাখতে পারেন ।

কত টাকা ইনভেষ্ট লাগতে পারে ?  
আপনার মিষ্টি তৈরি বাবদ ৫০ হাজার টাকা হলেই চলবে । তাবে আপনার  বিক্রয়র উপর আপনার ইনবেষ্ট আরও বড়াতে হবে । প্রথম আবস্থায় আপনি প্রতিদিন ২০-৩০ কেজি মিষ্টি তৈরি করতে পারেন ।
আপনিস যদি শহরে দোকান দেন তাহলে আপনার খরচ একটি বেশি হবে আর গ্রামে দোকান দিলে একটু কম হবে । ডেকেরেশন একটু ভালো  ভাবে করতে হবে ।

লাভ লোকসান ।
এবার আলোচনা করব আপনার কি পরিমানে লাভ হতে পারে । প্রতি কেজিতে আপনি ৩০%-৪০% লাভ করতে পারেবন অনয়সে।
ঠিক ঠাক বিক্রি করতে পারলে মাসে মিলিয়ে ৭০ তেকে ৮০ হাজার টাকার অনয়সে আয় করা সম্ভব। মিষ্টির দোকানে একজন কর্মচারী হলেই যথেষ্ট । দোকান ভাড়া ছাড়া তেমন খরচ হবেনা।

মান নিয়ন্ত্রণ
কাঁচামাল থেকে শুরু করে উৎপাদন, বাজারজতকরণ প্রতিটি পর্যায়েই কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে৷ মিষ্টির প্রধান কাঁচামাল দুধ,
চিনি ও ময়দা৷ মান পরীক্ষার মাধ্যমেই এগুলো ব্যবহার করতে হবে৷ উৎপাদন এবং সংরক্ষণে দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত লোকের ব্যবস্থা করতে হবে৷

5 comments:

  1. আমি মিস্টির ব্যাবসা করতে চাই কিন্তু কিবাবে শুরু করবো ভেবে পাচ্ছি না আর কারিগর কুথায় পাবো তাও ভাল করে জানি না আমাকে যদি একটু হেল্প করতেন

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি মানসম্মত ও কোয়ালিটি সম্পুন্ন মিষ্টি বানানো শিখতে চাই কিভাবে কোথায় শিখতে পারবো,,,,,

      Delete
  2. আপনি একজন অভিজ্ঞ দোকানদারের সাথে কথা বলুন। তিনি আপনাকে ভালো দিকনির্দেশনা দিতে পারবেন।

    ReplyDelete
  3. আপনার পাশের কোন মিষ্টি দোকানির সাথে কথা বলুন বিস্তারিত জানতে পারবেন

    ReplyDelete