যারা চাকরি না করে বিভিন্ন রকম ব্যবসা করার চেষ্টা করেন তাদের জন্য আজকে আমি একটা কোটি টাকার ব্যবসা শেয়ার করবো ।
আমাদের দেশে এখনো ব্যবসা করার মতো অনেক পথ আছে, এসব থেকে আমি এমন একটি ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করবো যা করে আপনারা
সহজেই কোটিপতি হতে পারেন । তেমনি বিদেশে গিয়ে চাকুরি না করে, বিদেশে যাওয়ার টাকায় আপনি বাংলাদেশে বসেই শুরু করতে পারেন মুড়ি
তৈরির ব্যবসা । অটোম্যাটিক মেশিণে মুড়ি উৎপাদন করে পাইকারি বিক্রির ব্যবসা।
মুড়ি হচ্ছে এমন একটি খাদ্য জা আমাদের দেশে ১২ মাস সমানে চলে । ধর্মে,বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের বাঙ্গালিদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় মুড়ি থাকেই ।
রোজা, পূজা ইত্যাদি অনুস্টানে মুরির হাহাকার চারি দিকে, তাই এই ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে আপনিও শুরু করতে পারেন অটোম্যাটিক মেসিনে
মুড়ি উৎপাদন ব্যবসা।
কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে বাড়িতেই মুড়ি ভাজার কাজ হতো । কিন্তু বিজ্ঞান এর উন্নতির ফলে এখন আর সনাতন পদ্দতিতে মুড়ি ভাজা হচ্ছেনা।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে অটোম্যাটিক মেশিনেই হচ্ছে এসব মুড়ি ভাজার কাজ । মুড়ি তৈরির মেশিন কয়েক ধরনের হয় যেমন
বিদ্যুৎ চালিত, কাঠ, কয়লা চালিত, গ্যাস চালিত ।
বর্তমানে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে বিদ্যুৎ ও কাঠ, কয়লা বা গ্যাস চালিত মেশিনটি। এই মেশিন অল্প খরচে প্রচুর উতপাদন পাওয়া যায়,
যেমন প্রতি ঘন্টায় কমপক্ষে ৩০০ কেজি থেকে শুরু করে আরো বেশি প্রডাকশন এর মেশিনও পাওয়া যায়।
আপাদত এই মেশিন নিয়েই কথা বলি, এটা চালাতে হলে আপনার বিদ্যুৎ, কাঠ, কয়লা বা গ্যাস লাগবে। যেহেতু এই উপাদান গুলি সহজ লভ্য এবং ব্যবসায়ী
দৃষ্টিকোন থেকেও লাভজনক তাই এই ধরনের মেশিন ব্যবহার করা খুবই লাভজনক।
কি কি আছে এই মেশিনে
মেশিন এ আছে- ১ ঘোড়া ও ২ ঘোড়া ইলেক্ট্রিক মটর, ১০ ফিট ৬ ইঞ্জি ভাজার ড্রাম, চিমনি ১২ ফিট ইত্যাদি, তাই মেশিন সেটাপ করে ব্যবসা শুরু করতে আপনার
২২ ফিট টু ১৪ ফিট সাইজের রুম লাগবে।
মেশিন কোথায় পাবেন
এ বি সি ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড
রাজেন্দ্রপুর বাজার ( ক্যান্টনমেন্ট)
গাজীপুর ১৭৪১, ঢাকা
০১৯৭৭৮৮৬৬৬০, ০১৭৫৮৬৩১৮১৩
আয় ব্যয় এর ধারনা।
এই মাপের একটি মেশিন সেটাপ করতে আপনাকে ব্যয় করতে হবে প্রায় ৩,৬০০০০ লক্ষ টাকা।
আয় এর ধারনা:
আপনি প্রতিদিন উৎপাদন করবেন ৩৫০ কেজি মুড়ি ঘন্টা হিসেবে, তাহলে প্রতিদিন এক শিফট ৮ ঘন্টায় ২৮০০ কেজি মুড়ি প্রায়। চাল কিনতে হবে ৩৫ টাকা কেজি,
মুড়ির চাল এর দাম কম, তাই পাইকারি রেটে ৩৫ টাকায় আপনি এই চাল পাবেন।
তাহলে প্রতিদিন চাল লাগবে ২৮০০ কেজি X ৩৫ টাকা = ১,০০,৮০০ টাকা। (এক লক্ষ আট শ টাকা)
প্রতিদিনকার মুড়ি প্রতিদিন সেল করতে হবে । যদি স্টক করেন, তাহলে ঝামেলা বেশী হবে। এতে আপনার মূলধন বেশী লাগবে। যদি আপনি প্রতিদিন তৈরি
করেন ২৮০০ কেজি মুড়ি, তাহলে ৩০ দিনে পাবেন ৮৪০০০ কেজি মুড়ি।
যার বর্তমান বাজার মুল্য পাইকারি হিসেবে বিক্রি করলে পাবেন -৮৪০০০ কেজি গুন ৬০ টাকা = ৫০,৪০,০০০ টাকা প্রায়।
তাহলে ব্যয়-
এবার দেখাবো মোট ব্যয় কত হতে পারে।
প্রতিদিন চাল লাগবে ১০০৮০০ টাকার ৩০ দিনে ৩০২৪০০০ টাকা
চালে খরচ ৩০২৪০০০
লাকরি ৩০ দিনে ১০০০০০
বিদ্যুৎ ১০০০০০
পলিব্যগ বস্তা ১৫০০০০
লেভার খরচ ৩ জন ৩০০০০
অন্যান্য খরচ।
৫০০০০
--------------------------------
মোট ব্যয়- ৩৪৫৪০০০ টাকা প্রায় খরচ মাসে
তাহলে ইনকাম হচ্ছে-
মুড়ি বিক্রি করে আয় ৫০৪০০০০ টাকা
মাসে খরচ। ৩৪৫৪০০০ টাকা
মোট লাভ হচ্ছে ১৫৮৬০০০ টাকা প্রায় প্রতি মাসেই লাভ হবে সুধ মুক্ত ভাবে শুধু হালাল উপায়েই।
No comments:
Post a Comment