Saturday, November 24, 2018

ভারত থেকে কি গরু আমদানি করা সম্ভব ?? How to import cow from india?




Top 6 best keyboards for android
Top 6 best keyboards for android

একটা প্রশ্ন আমাকে অনেকেই করে থাকেন " ভারত থেকে গরু আমদানি করতে চান" আসলে এই উত্তরটা দেয়ার আগে
আপনাদেরকে ভারত সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। আপনারা জানেন ভারত একটি হিন্দু সংখ্যাগরিস্ঠ দেশ আর আমরা জানি যে হিন্দু ধর্মে গরু
গোমাতা হিসেবে পূজিত এবং গো-মাংস ভক্ষন ও গো-ব্যবসা নিষিদ্ধ । ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গরু জবাই আইন করে নিষিদ্ধ করা আছে ।
রাষ্ট্রটির বর্তমান সরকারের কঠোর নীতিমালার জন্য দেশটি থেকে গরু আমদানি প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
পৃথিবীর মধ্যে সবচে বেশী গরু পালিত হয় ভারতে। পশ্চিমবংগ এবং কেরালা ছাড়া ভারতের অন্য সব রাজ্যে গরু জবাই করা নিষিদ্ধ।
ফলে বিপূল পরিমান গরু থেকে যায় স্বাভাবিক মৃত্যুর অপেক্ষায়।

এবার আলোচনা করবো বাংলাদেশের মাংসের চাহিদা নিয়ে। বাংলাদেশের মাংসের চাহিদা পূরন করে থাকে প্রধানতঃ গরু, মুরগী এবং খাসি।
এর মধ্যে গরুর মাংসের দাম অপেক্ষাকৃত কম । এক হিসাব অনুসারে বছরে ৫০ কোটি ডলারের বা ৪০০০ কোটি টাকার গরু ভারত থেকে বাংলাদেশে
আরও পড়ুন চোরাচালানের মাধ্যমে আসে, যা বাংলাদেশের গরুর মাংসের ৫০% এর ও বেশী চাহিদা পূরন করে থাকে । এদিকে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)
সর্বশেষ হিসাব মতে, দেশে এখন গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৮৬ লাখ। এর মধ্যে ১ কোটি ৭৫ লাখ গাভী।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও মাংস ব্যবসায়ীদের হিসেবে, দেশে বছরে ১ কোটি ৩০ লাখের মতো গরু ও মহিষ জবাই হয়। এর মধ্যে ৮০ লাখ গরু।
দুই ঈদে প্রায় ৬০-৬৫ লাখ গরুর চাহিদা রয়েছে। অন্য একটি হিসাব বলছে সারাবছরে যে পরিমাণ গরু জবাই হয় তার অর্ধেক প্রয়োজন হয় কোরবানির সময়।
এ কারণে কোরবানির সময় গরু আমদানির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভারত থেকে কি গরু আমদানি করা সম্ভব ??

ভারতের সংবিধানে বানিজ্যিকভাবে গরু রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে । তাই ভারতে ব্যাপক হারে গরু পালন হলেও বানিজ্যিক ভাবে
গরু রপ্তানি করতে আইনি বিধি নিষেধ রয়েছে । আর এই কারনেই আমাদের দেশে সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু চোরালান হয়ে আসে ।
চো্রাচালানের আর একটি বড় কারন হলো পশ্চিমবঙ্গ ও কেরেলা ব্যতিত অন্যান্য রাজ্যে গরু জবাই আইন করে নিষিদ্ধ করা আছে,
কিন্তু এই ব্যাপক হারে পালিত গরু একটা সময়ে রুগ্নপ্রায় হয়ে মৃত্যু্র অপেক্ষায় থাকে যা পালনকারীর জন্য জটিলতার সৃস্টি করে তাই
অবৈধ পথে প্রতিদিন অনেক গরু আসে আমাদের দেশে আর সবথেকে বেশি আসে কোরবানী ঈদ উপলক্ষে কিন্তু কখনই সেটা বৈধ ভাবে নয় ।

বছরে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ গরু চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত
থেকে বাংলাদেশে আসে। এই গরুর চামড়াই আবার চোরাচালান হয়ে ফিরে যায় ভারতে। এর প্রধান কারন হল ভারতে এবং বাংলাদেশে গরুর দামে
পার্থক্য। ভারতে যে গরুর দাম ১০০ ডলার তা বাংলাদেশে ৩০০ থেকে ৩৫০ ডলার মূল্যে বিক্রি হয়। ফলে গরু চোরাচালান সবচে লাভ জনক ।
বাংলাদেশে গরুর মাংসের চাহিদা আছে, দাম বেশী অথচ চাহিদার তুলনায় গরুর সংখ্যা কম। বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত সুরক্ষিত নয়।
কারন হল ৪০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিশ্ছিদ্র করা সম্ভব নয়। এর উপর আছে সীমান্ত রক্ষীদের উপরি আয়, ফলে ভারত এবং বাংলাদেশের ব্যাবসায়ীদের
জন্য গরু চোরাচালান এক লোভনীয় ব্যাবসা।


তবে আমাদের সরকার ভারত থেকে বৈধপথে গরু আমদানির উদ্যোগ নিয়েছিলো। অনুসন্ধান চলছে গরুর বিকল্প বাজার ও এ লক্ষ্যে মিয়ানমার, ভুটান ও নেপাল থেকে
পশু আমদানি করা হবে। আমিষের প্রধান উৎস গোস্তের সরবরাহ নিশ্চিত ও ভোক্তাদের জন্য তা সহজলভ্য করার চেষ্টা গ্রহণ করা হচ্ছে। ভারত সীমান্তের ৩১ করিডর
দিয়ে গরু আমদানি পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।  এছাড়া বর্ডার হাটগুলোতে গরু বেচাবিক্রি হতে
পারে কি না সে বিষয়ে কৌশল নির্ধারণ করা হবে।

No comments:

Post a Comment