ভেজালের ভিড়ে আসল বস্তু খুজে পাওয়া দুস্কর ৷ এখন মিনিকেট নামে যে চাল বাজারে বিক্রি হয় তা কিন্ত প্রকৃতপক্ষে চিকন চাল না৷ বিশেষ এক ধরনের মেশিনে এ চাল কেটে চিকন করা হয় ৷ বুজতেই পারতেছেন, কি চাল কি হয় ৷ আজকে আমি ভিন্ন একটি আইডিয়া শেয়ার করবো ৷ ভেজালের ভিড়ে বিরক্ত মানুষ এখন আসল চালের সন্ধানে ছুটে চলছে ৷ ব্রাউন চাল এর মধ্যে অন্যতম৷
বর্তমানে বাজারে যেসব চাল পাওয়া যায় তা বিভিন্ন কেমিক্যাল ও মোম দিয়ে পরিশোধিত করা যা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ভেজালের যুগে মানুষ একটু নির্ভেজাল ভোগ্যপণ্য পেলে তা সানন্দে গ্রহণ করবে। কারণ ঢেঁকি ছাঁটা চাল হল নির্ভেজাল ও এর রয়েছে বিভিন্ন রকমের গুনাগুণ ।
যেমন এ চালের উপরিভাগে যে লাল আবরন থাকে সেটা ভিটামিন বি র উৎস৷ স্কার্ভি রোগ থেকে মুক্তি দিবে ৷
কিভাবে শুরু করবেন ব্যবসা
প্রথমে কৃষকের কাছে থেকে ভালো মানের ধান কিনতে হবে। সেই ধান সিদ্ধ করে রোদে ভালভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। শুকানো ধান ঢেঁকি/মেশিনের সাহায্যে ছাঁটতে হবে। তারপর চাল থেকে তুষ আলাদা করে প্যাকেট / বস্তাজাত করতে হবে। ৫ কেজি ১০ কেজির প্যাকেটে করে সুপারশপ , বিভিন্ন চালের আড়ৎ গুলিতে পাইকারী সরবরাহ করতে পারেন ৷ তবে প্যাকিং হতে হবে ছোখ ধাধানো ৷ না কষ্টমার দু নম্বর ভাববে ৷ ভালো করে লেখতে হবে ১ নং ঢেকি চাটা চাল ৷
সম্ভাব্য পুঁজি এবং লাভঃ প্রথমে ১০ মন ধান ক্রয় করলে প্রতি মনে চাল হবে ২৭-২৮ কেজি ৷ ১০ মনে ২৮০ কেজি চাল হবে ৷ ১০ কেজির প্যাকেট ২০ টি করলে ৫ কেজির ১৬ টি প্যকেট , মোট ৩৬ টি প্যাকেট হবে ৷
১০ মন ধান ক্রয় করতে ৭-৮ হাজার টাকা লাগবে ৷ এর পর প্যাকিং করতে আরও ১০০০ টাকা খরচ হবে ৷ মোটামুটি ১০ হাজার টাকা হলেই চলবে ৷ প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করলে ১৬৮০০ টাকা বিক্রি হবে ৷ ৬৮০০ টাকার মধ্যে খরচ যদি ১৮০০ টাকা ধরেন তবে ৫০০০ টাকা লাভ থাকবে ৷
সুবিধাঃ ঢেঁকি ছাঁটা চাল তৈরির জন্য বড় পরিসরের জায়গা লাগবে না। এর প্রক্রিয়াজাত করন খুব সহজ ও সহজলভ্য শ্রমিক সুবিধা। আর চাল হলো মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু ৷ এটা খাবেই ৷ ৬০ টাকা দরে আর্গনিক ঢেকি চাটা চাল সবাই হুমড়ি খেয়ে ক্রয় করবে ৷
বাজারজাতকরণঃ চাল হল নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্য । এটা স্থানীয় চালের বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুপার শপ যেমন - অগোরা , মিনা বাজার , স্বপ্ন ইত্যাদিতে সরবরাহ করা যাবে। এছাড়া পাইকারী দোকানেও সরবরাহ করতে পারবেন ৷ আরও পড়ুন
No comments:
Post a Comment